Skip to main content

Posts

চুঁচুড়া শহরে হয়ে গেল বাম ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও 'র দশম জেলা সম্মেলন

  অনন্য দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম বর্ষে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন প্রদান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, শিক্ষার সর্বস্তরে ফি মুকুব, পরিবহনে এক-তৃতীয়াংশ কনসেশন ও পাশ করা সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে এবং গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপ দিতে শিক্ষা সংস্কৃতি মনুষ্যত্ব রক্ষার্থে আগামী দিনে এই হুগলি জেলা জুড়ে ছাত্র আন্দোলনের উন্নত সংস্কৃতির ঝাণ্ডা কে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে ও বেগবান করতে ২৬শে আগস্ট,২০২১ এ  এআইডিএসও হুগলী জেলা দশম ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।এই সম্মেলনে শুকদেব বিশ্বাস কে সম্পাদক ও শঙ্কর দাস কে সভাপতি নির্বাচিত করে ৭১জন কে নিয়ে নবনির্বাচিত নতুন হগলীজেলা কমিটি  তৈরি হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র প্রতিনিধি  অংশগ্রহণ করে।  এআইডিএসও র রক্ত পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মনিশঙ্কর পট্টনায়েক উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন.  এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) এর হুগলী জেলা কমিটির সদস্য  মাননীয় সন

শ্রীরামপুরে প্রতীকী অবরোধে সামিল এ আই ডি এস ও

  স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি সহ সমস্ত রকম ফি মুকুব ,পরিবহনে ছাত্র-ছাত্রীদের কনসেশন দেওয়া ও সমস্ত বকেয়া স্কলারশিপ অবিলম্বে প্রদানের দাবিতে এবং রাজ্য জুড়ে রেজাল্ট বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এ আই ডিএসও ২৬শে  জুলাই সারা রাজ্য জুড়ে প্রতীকী অবরোধের ডাক দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় হুগলি জেলার শ্রীরামপুররের মানিক তলা মোড়ে প্রতীকী অবরোধ করে এ আই ডিএসও হুগলি জেলা কমিটি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্র- ছাত্রীরা এই অবরোধে সামিল হয়। পথচলতি সাধারণ মানুষ এই দাবিগুলি তে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এই অবরোধের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রায় আধ ঘণ্টা এই অবরোধ চলে। এরপর শ্রীরামপুরে বিক্ষোভ  মিছিল করে তারা। মিছিল শেষে জেলা সভাপতি দীপঙ্কর মণ্ডল জানান 'ছাত্র-ছাত্রীদের এই দাবি গুলি নিয়ে আমাদের জেলা জুড়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে । গত ২২শে জুলাই আমরা হুগলি জেলার ডি আই কে ডেপুটেশন দিয়েছি । এরই পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ স্তরেও আমরা আন্দোলন সংগঠিত করছি। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে দাবি আদায় হয়েছে। তিনি আরো

বলাগড়ে আন্দোলনে নামল এস.ইউ.সি.আই (কমিউনিস্ট)

  সংবাদ একনজরে, বলাগর: বামপন্থী দল এসইউসিআই (কমিউনিস্ট )এর রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতি গুলির বিরুদ্ধে ১থেকে ৭ জুলাই এক সপ্তাহব্যাপী যে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় আজ বলাগড় ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে বলাগড় বিডিও কে পেট্রোল, ডিজেল ,রান্নার গ্যাস ও কেরোসিন তেলের বিপুল পরিমাণ ট্যাক্সের টাকা প্রত্যাহার করে দাম কমানো, কৃষি বিল-২০২০, বিদ্যুৎ বিল-২০২০ বাতিল , স্বজন পোষণ না করে ১৮থেকে ৪৪বছর বয়সী সকলকে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রদান,বলাগড় ব্লকের রেয়ন মিল সহ সমস্ত বন্ধ কল-কারখানা খোলা, সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সর্বক্ষণের জন্য ডাক্তার নিয়োগ , ব্লক অন্তর্গত বন্ধ হয়ে যাওয়া বহু রিভার পাম্প গুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করে চালু করা, বেহুলা খালসহ অন্যান্য খাল সংস্কার -এই দাবি গূলি সহ ১৪ দফা দাবিতে আজকে ডেপুটেশন দেয় তারা। বিডিও সাহেব দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসইউসিআই কর্মী-সমর্থকরা জিরাট বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখান এবং নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা ও কৃষিবিল -২০২০ দাহ করেন।এরপর একটি

সাইক্লোন : প্রতি বছর কেন ? মুক্তির উপায় কি ? || কলম ধরলেন লাবনী পাল

সাইক্লোন:প্রতি বছর কেন ? মুক্তির উপায় কি ? বর্তমানের এক অতি পরিচিত বিভীষিকা ঘূর্ণবাত বা সাইক্লোন। প্রতিটা বছর এর ধ্বংস লীলা আমরা প্রত্যক্ষ করে চলেছি আমাদের যাপনে। এবছর ও মাত্র কয়েক দিন আগেই আছড়ে পড়ল 'ইয়াস' । সবে মে মাস, হয়তো আরও দু'-এক জন আছে অপেক্ষায়। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, কী এই ঘূর্ণবাত ? কেন ই বা এর ভয়াবহতা বার বার তছনছ করে দিচ্ছে উপকূলের জীবন ও জীবিকা ? এ প্রশ্নের বিশ্লেষণ করতে হলে, একটু চোখ রাখতে হবে আবহবিদ্যার পাতায়। ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির ফলে বায়ুপুঞ্জ, উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে তার বিপরীতে, প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ঐ নিম্নচাপ কেন্দ্রের অভিমুখে অগ্রসর হয়। এটিই ঘূর্ণবাত বা সাইক্লোন নামে পরিচিত। সাইক্লোন শব্দটির আক্ষরিক অর্থ 'সাপের কুণ্ডলী' । ১৮৩৬ - ১৮৫৫ এই সময়কালে হেনরী পিডিংটন তাঁর কোলকাতার ঝড় সংক্রান্ত গবেষণা পত্রে প্রথম এই শব্দটির উল্লেখ করেন। অবস্থানগত দিক থেকে আমাদের ভারত ক্রান্তীয় জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত। এই ক্রান্তীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় গড়ে ওঠার পেছনে বেশ কিছু আবহাওয়াগত শর্ত কাজ করে। সেগু

ওরা হুজুগে,মানুষের পাশেই থাকে

ওরা হুজুগে,মানুষের পাশেই থাকে একনজরে প্রতিবেদন:  আবার একটা লকডাউন,মানুষের পেটে টান।কয়েক লক্ষ মানুষের কাজ বন্ধ। কোরোনার থাবা মাথার পাশেই।কি করবে এই বিধ্বস্ত জীবনে?হুজুগে আছে তো,হুজুগে নাম টা শুনে সেই ভাবে ভক্তি না এলেও ওদের কাজে ভাক্তি আসবেই। গত বছর থেকেই হুজুগে  লকডাউনে মানুষের পাশে।এবার ও ব্যতিক্রম নয়।এবার হুজুগে তাদের বিপুল সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গেছিলো চন্দনগরের গঙ্গা তীরবর্তী এক ইটভাটায় ।সেখানে একশো মানুষের হাতে তুলে দিলো, দুপুরের খাবার, ভাত,ডাল, ডিম, সোয়াবিনের তরকারী, কেক, বিস্কুট, লজেন্স,মাস্ক, স্যানিটাইজারট। এই কাজের জন্য কেউ হাত খরচ বাঁচায়,কেউ প্রাইভেট টিউশন থেকে অর্জিত অর্থ দেয়,কেউ নাচ শিখিয়ে যা টাকা পায় সেটা তুলে দেয় হুজুগের ফান্ডে,কেউ আবার ছবি তুলে পয়সা দেয় ।হুজুগের অন্যতম সদস্য সৈকত দত্ত বলেন, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো টা আমাদের কাজ,এই কাজ টা অন্য আরসকল কাজের মতোই একটা।এটা করতেই হবে। এর সাথে তিনি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর কবিতার পঙতি তুলে বলেন - মানুষ বড় কাঁদছে,তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও।

আমরা প্রতিদিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরি। প্রেমিকার স্পর্শে হই মুহ্যমান-কবি শঙ্খ ঘোষের আলোচনায় : ধীমান ব্রহ্মচারী

আমরা প্রতিদিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরি।প্রেমিকার স্পর্শে হই মুহ্যমান-কবি শঙ্খ ঘোষের আলোচনায়: ধীমান ব্রহ্মচারী (ক) 'এই তো, রাত্রি এলো। বলো,এখন তোমার কথা বল।' আমরা যারা কবিতাকে আঁকড়ে নিয়ে সর্বদা বেঁচে থাকি,তারা হয়তো জানি কবিতা কী?কেন?কীভাবে?কখন?-এরকম অনেক প্রশ্নচিহ্ন দিয়ে তৈরি করা যায় কবিতার দেহ।কবিতার শরীর।আর এই কবিতার আলোচনায় যখন আসেন আমাদের কাছের বাংলা ভাষার এক সহজিয়া কবি।নাম শঙ্খ ঘোষ।একটা পুরো জীবন কেটে যাবে শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে।আবার তারচেয়েও বড় কথা এক জীবনের আমার মতো ছোট্ট জীবন দেখা মানুষের বিরাট জীবন দেখাও হয়ে উঠবে না,এই স্বল্প পরিসরের চলার পথে।আসলে মানুষ তার চেতনার মধ্যে সর্বদা খুঁজে বেরান তার অস্তিত্ব।সেই অস্তিত্বের স্বরূপ একজন কবি খুঁজে পান তাঁর চেতনায়,কাব্য সাধনার মধ্য দিয়ে।আমাদের শঙ্খ ঘোষও এর ব্যতিক্রম নন। কবিতা ও কবি' এই শব্দ দুটিই আমাদের সমাজ জীবনের পথে প্রভাব ফেলে।এবং এই প্রভাব যে কি পরিমানে তার ইয়ত্তা নেই।পূর্ণেন্দু পত্রী তাঁর একটি বই(প্রসঙ্গ : শিল্প, সাহিত্য)এ একটি আলোচনায় লিখছেন,'এ কবিতা নিয়ে গভীর তাত্ত্বিক আলোচনার তর্ক-ঝড় বয়ে গেছে এক সময়,শঙ্খ

জনস্বার্থ ও স্নেহ র উদ্যোগে বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প

  একনজরে প্রতিবেদন:নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিবস কে সামনে রেখে সমজসেবামূলক সনস্থা  জনস্বার্থ ও স্নেহ চুঁচুড়া ধরমপুর এ বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প এর আয়োজন করে।  ক্যাম্পে ফিজিওথরাপিস্ট অনুপম সেনগুপ্ত ও সত্যব্রত ঘোষ প্রায় ৩০ জনের চিকিৎসা করে। এ প্রসেঙ্গে মূল উদ্যোক্তা সন্দীপ রুদ্র বলেন প্রতি মাসেই এবার থেকে এই ক্যাম্প হবে, মহান দেশনায়ক কে শ্রদ্ধা জানতে তার জন্মদিনকেই এই উদ্যোগ এর সূচনা হিসাবে মান্যতা দিলাম।  চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের মধ্য উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

যথাযথ মর্যাদায় পালিত হল নেতাজীর ১২৫ তম জন্মদিবস

  একনজরে প্রতিবেদন: হুগলী চুঁচুড়া নেতাজী জয়ন্তী কমিটির উদ্যোগে দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিবস পালন করা হয়। সকালে কয়েকশো সদস্য ও কর্মী নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চুঁচুড়া পিপুলপাতি থেকে শুরু হয়ে মাঠের ধারে নেতাজী মূর্তির পাদদেশে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সম্পাদক শুভময় মজুমদার, সভাপতি নরেন দে, কার্যকরী সভাপতি বদরুল হাসান সহ একাধিক ব্যক্তি। বদরুল হাসান বলেন নেতাজীর পথ আগামীর পথ, তাঁকে অনুসরণ করেই আগামীর পথ প্রস্তুত হবে।