Skip to main content

চারশো নয় চার লক্ষ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের লক্ষ্য : হুজুগে ফ্রেন্ডস


সংবাদ একনজরে: কোরোনা ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন, কর্মহারা বহু মানুষ। তারপর আবার  আম্ফান। সম্প্রতি এই আম্ফানে বিধস্ত হুগলী জেলা। একাধিক মানুষ খাদ্য বাসস্থান হারিয়েছে, রাজ্য জুড়ে বহু গাছ উপরে গেছে। নষ্ট প্রাকৃতিক ভারসাম্য। যত ঝড়ঝাপ্টাই বয়ে যাক না কেন, এই অবস্থায় ঘরে বসে থাকেননি "হুজুগে" ছেলে মেয়ে গুলো। 

ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এরা। চুঁচুড়া,চন্দননগর, মানকুন্ডু সহ সন্নিহিত অঞ্চল গুলিতে প্রায় ৪০০ জনকে খাদ্য সামগ্রী ও জামাকাপড় দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে এরা। "হুজুগে ফ্রেন্ডস" নামক এই গোষ্ঠী মূলত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে। এদের অধিকাংশই কেউ কলেজ তো কেউ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রী।

 শহরের বুকে যুব সমাজের এই ভূমিকা দেখে সত্যিই সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী থেকে নেটিজেনরা অনেকেই। এবিষয়ে "হুজুগে ফ্রেন্ডস" এর এক সদস্য বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, পরবর্তীতে বহু মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য " মানুষের পাশে থাকার", শুধু এই লকডাউন বা আম্ফান বলে নয়, আগামী দিন গুলোতে আমরা একই উদ্যমে কাজ চালিয়ে যাবো। 

খাদ্য, বস্ত্র ছাড়াও আমরা আগামী সপ্তাহে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীও গ্রহণ করেছি। আশাকরি , আপনারা এই কোরোনা পরিস্থিতিতেও যেমন আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আগামী দিনে অর্থাৎ কোরোনা পরবর্তী দিনেও একইভাবে আপনাদের পাশে থাকবেন। তাহলে এই চারশো নয় চার লক্ষ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।।

"হুজুগে ফ্রেন্ডস" দের সাহায্য করতে চাইলে।


Comments

Post a Comment

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।