Skip to main content

চুঁচুড়ায় সনৎ রায়চৌধুরীর স্মরণ সভা

 


অসিত কুমার রায়: গতকাল চুঁচুড়ার রবীন্দ্র ভবনে সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও নকশাল নেতা  সনৎ রায়চৌধুরী-র 'স্মরণ সভা' আয়োজন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন তাঁর অনুরাগী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ , গুণগ্রাহী সহকর্মীবৃন্দ , বহু সাধারন মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ! 

প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যর মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার মহাশয় , পৌরপ্রধান অমিত রায় মহাশয় , পৌরপিতা গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রজিৎ দত্ত ! দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী অমিতদ্যূতি কুমার মহাশয় গণ-আন্দোলনের দিনগুলির নানান ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন ! শ্রমজীবী হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সনৎবাবুর জনসেবায় আত্ম-নিয়োগের নানান ঘটনা তুলে ধরেন ! ইউনিয়ন অ্যাথলেটিক ক্লাবের সম্পাদক ও বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় বিভাস সরকার মহাশয় ক্লাবের সাথে ও মাঠের সাথে সনৎ-দার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্কের কথা নানান ঘটনার মাধ্যমে উপস্থিত মানুষজনের কাছে তুলে ধরেন ! ছাত্র-ছাত্রীরা কয়েকজন সনৎ-দার ছাত্র-দরদী মানসিকতা ও ভালোবাসার নানান দিকে আলোকপাত করেন ! 

বক্তব্যে উঠে আসে - সনৎ-দার ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশের মাতৃভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ , বামপন্থী রাজনৈতিক জীবন , বন্দী মুক্তি আন্দোলন , শিক্ষকতা , সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি রক্ষার লড়াই , নিরবে জনসেবা ও জীবন যুদ্ধে নিজের শর্তে মাথা উঁচু কোরে বাঁচার নানান ঘটনা ও কাহিনী ! অকৃতদার পরোপকারী একজন প্রকৃত ভালো মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহরের বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ! সনৎ-দার দীর্ঘ জীবনের একটি অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রকাশ করা হয় ! গানে কবিতায় এবং স্মৃতিচারণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের সাথে সাথে - সনৎ বাবুর একটি মর্মর মূর্তি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় !

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।