একনজরে প্রতিবেদন:আজকের দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে সারা ভারত ধর্মঘটের সমর্থনে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের চুঁচুড়া লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ঘড়ির মোর সহ চুঁচুড়া শহর জুড়ে মিছিল হল। মিছিল টি চুঁচুড়া স্টেশন থেকে শুরু করে খাদিনা মোড়, তোলা ফটক খুড়ুয়া বাজার মোড় হয়ে পুলিশ লাইন পার হয়ে ঘড়ির মোর, বাস স্ট্যান্ড সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় পরিক্রমা করে গোরস্থান এ শেষ হয়।
এই মিছিলে দাবি ওঠে-
১. রেল, ব্যাংক,বীমা, খনি, বিএসএনএল সহ সরকারি সম্পত্তি সরকারিকরণ করা চলবে না।
২. কৃষক স্বার্থবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হব
৩.শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শ্রম আইন বাতিল করতে হবে।
৪.অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রদ ও নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু, ক্রমবর্ধমাননারী নির্যাতন বন্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫.সমস্ত দুঃস্থ পরিবারদের মাসিক ৭৫০০ টাকা ভাতা চালু করতে হবে।
৬.প্রত্যেক গরীব মানুষদের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে মাথাপিছু ১০ কেজি রেশন দিতে হবে।
৭.MGNREGA প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামে ২০০ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে।
৮.অগণতান্ত্রিক এন আর সি-সিএ এ বাতিল করতে হবে।
৮. বিদ্যুৎ আইন (সংশােধনী) ২০২০ বাতিল করতে হবে।
৯.বিভেদ সৃষ্টিকারী ধর্ম বর্ণ ও জাতপাত ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ কর।
১০.জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করতে হবে।
মিছিলের মধ্য দিয়ে মেহনতী মানুষের এই দাবি রাস্তার সীমানা অনেকদূর পৌঁছে গেছে।অনেকেই রাস্তায় এসে দেখছেন।হাত তুলে সমর্থন করছেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা কমরেড কুমুদ মণ্ডল সহ চুঁচুড়া লোকাল কমিটির অন্যান্য কর্মী বৃন্দ। কমরেড কুমুদ মন্ডল জানান দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে মেহনতী মানুষের স্বার্থে এই ধর্মঘটের সাধারণ মানুষ সাড়া দিয়েছেন। মেহনতী জনগণ মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতি গুলি বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এলাকায় এলাকায় গণ কমিটি তুলেছে।এই ধর্মঘট সেই আন্দোলনেরই প্রতিচ্ছবি। তিনি ধর্মঘট সফল হওয়ার দাবি করেন। এছাড়া আগামী দিনে এই আন্দোলনকে চুঁচুড়া সহ জেলার সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
Comments
Post a Comment