একনজরে প্রতিবেদন: কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় হতাশ হয়ে পরে বাংলার শিল্পী মহল। কভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে অনুরোধ করেন অনুষ্ঠান যেন না করা হয়। এই কথায় বাংলার শিল্পী মহল ক্ষোভ উগরে দেন। আমরাও তুলে ধরেছিলাম সেই ক্ষোভের কথা। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইটে পরিষ্কার হয় শিল্পীরা মঞ্চে থাকবেন, তবে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে।
তিনি জানান ১ অক্টোবর থেকে শর্ত মেনে যাত্রা, নাটক, মুক্তমঞ্চ, সিনেমা, গান, নাচ ও ম্যাজিক শো চলতে পারে।
কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউন পর্ব থেকে বন্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তার জেরে আর্থিক সংকটে বহু শিল্পী। অনেক শিল্পীর জীবন-জীবিকা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলির উপরে নির্ভর করে। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে যাত্রা,নাটক-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে তিনি জানান, ''স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে। ১ অক্টোবর থেকে যাত্রা, নাটক, মুক্তমঞ্চ, সিনেমা, নৃত্য-গানের অনুষ্ঠান ও ম্যাজিক শোর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তবে ৫০ জন বা তার কম দর্শক থাকতে হবে। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব। মাস্ক ও অন্যান্য বিধি মানাও বাধ্যতামূলক।''
দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে আনলক-৪ পর্বে একাধিক ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ধারা বজায় রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাড়পত্র দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঘোষণার পর ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব।
তবে পুজো উদ্যোক্তারা এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবেন না বলে নেতাজি ইন্ডোরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জনপ্রিয় অভিনেতা কৌশিক গোস্বামী বলেন এর থেকে আনন্দের কিছু হয়না। দিদি যে নিয়ম মেনে চলতে বলেছেন আমরা সেগুলো মেনেই আমরা কাজ করবো।
এই ঘোষণায় খুশি শিল্পী মহল। যাত্রা শিল্পী সঞ্জিত চ্যটার্জি বলেন- এই ঘোষণায় আমরা ভীষণ খুশি। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম, দিদি আবার আমাদের জাগিয়ে দিলেন। সেই সাথে তিনি ধন্যবাদ জানান শিল্পী সংগঠন বি এস পি জি কে। এবং সংগঠনের সুমিত গাঙ্গুলি কে।
যাত্রা শিল্পী কৃষ্ণ কুমার বলেন- আমরা ভীষণ খুশি। এতদিন বাদে মঞ্চে ফিরবো, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment