একনজরে প্রতিবেদন: আজ দেশজুড়ে জেলাশাসক দপ্তরে ছিল ঋণমুক্তির আন্দোলন।পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা সদরের মতো চুঁচুড়াতেও ব্যাপক জমায়েত হয়।
বেলা১ টায় তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চুঁচুড়া স্টেশন থেকে শুরু হয় হাজার হাজার মহিলার মিছিল। বেলা ২টায় ঘড়ির মোড় আটকে রেখে চলে সভা। জেলাশাসকের কাছে আয়ারলা রাজ্য সম্পাদক সজল অধিকারী র নেতৃত্বে ৬ জনের প্রতিনিধিদল অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রদীপ আচার্য কে ডেপুটেশন দেন।
তাদের দাবী ছিল-
১) মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলির নির্দয় মহাজনি শোষণ, জুলুম বন্ধ করতে হবে।
২) নিয়মিত উপার্জন সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত /২ বছর পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হবে।
৩) প্যানডেমিক পর্যায়ে সমস্ত ক্ষুদ্র ঋণের সুদ মকুব করতে হবে।
৪) বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও সংবিধানের ২১ধারা মোতাবেক জীবন জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেহনতি ও ঋণগ্রস্ত মানুষদের জন্য সরকারকে "বিশেষ সহায়তা প্রকল্প" ঘোষণা করতে হবে।
৫) সমস্ত ক্ষুদ্র ঋণ মকুব করতে হবে।
৬) লকডাউন সময়পর্বে মাসিক ১০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা মেহনতিদের দিতে হবে।
৭) কাজের নিশ্চয়তা দিতে এন আর ই জি এ তে২০০ দিন কাজ, ৫০০ টাকা মজুরি, ব্যক্তি ভিত্তিক জবকার্ড দিতে হবে।
৮) গ্রাম থেকে কৃষকদের ফসল উৎপাদন খরচের দেড় গুণ দামে কেনার নিশ্চয়তা দিতে হবে। লিজ চাষী সহ সমস্ত গরীব কৃষকদের কেসিসি ঋণ সহ ফসল বীমা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৯) শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিভাজন রুখতে গরীব ছাত্রদের স্মার্টফোন দিতে হবে।
১০) প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
জেলাশাসক দরিদ্র মহিলাদের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।।
Comments
Post a Comment