নিজস্ব প্রতিনিধি:১০ এবং ১২ মে'র তেলিনিপাড়ার দাঙ্গার পর থেকেই ওদের ঠিকানা ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ হাই স্কুল আর হাজি মহম্মদ মহসিন প্রাইমারি স্কুল । ওদের সবার বাড়ি পুড়েছে , তার সাথে সাথে সবকিছু পুড়েছে । এক জামা কাপড়ে দিন কাটাতে হচ্ছে , মহিলা পুরুষ , কিশোর কিশোরী , শিশু সবাইকে । মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুনঃনির্মাণ এর ঘোষণা করেছেন , কিন্ত প্রকৃত পক্ষে পুড়ে যাওয়া বাড়ির লোক পেয়েছেন ৮০০০ টাকা , আর শুধু ভাংচুর হয়েছে যাদের তাঁরা পেয়েছেন ৪০০০ টাকা , যা দিয়ে প্রকৃতপক্ষে বাড়ি মেরামতির কিছু হওয়া সম্ভব নয় । অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন নিরাপত্তার অভাবে , ওরা নাকি আর ফিরবে না । সংখ্যালঘু মানুষদের উৎখাত করা , প্রান্তে ঠেলে দেওয়ার খেলা খেলছে বিজেপি । আজ ছাত্র সংগঠন আইসা (aisa) এবং সারা ভারত জনমোর্চা (aipf) -র পক্ষ থেকে আবার যাওয়া হয়েছিল আক্রান্ত সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে । আজ মূলত মহিলাদের জন্য শাড়ি ও চুড়িদার , শিশুদের জন্য পোষাক এবং বয়স্ক পুরুষদের জন্য অল্প কিছু বস্ত্র নিয়ে যাওয়া হয় , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক যে সমস্ত পরীক্ষার্থীর এডমিট ও রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট পুড়ে গেছে , কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী যাদের শিক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে তাদের সঙ্গে কথা বলে আইসার জেলা সম্পাদক সৌরভ এবং ঠিক হয় আগামী বৃহস্পতিবার তাদের নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে এবং সেগুলো যাতে দ্রুত তারা পায়,কয়েকজনের পরীক্ষা বাকি আছে এবং কয়েকজনকে ভর্তি হতে হবে তার জন্য প্রশাসনিক স্তরে পরবর্তী উদ্যোগ জারি থাকবে । বিজেপি চন্দননগর - ভদ্রেশ্বর এলাকা জুড়ে যে ঘৃণ্য বিভেদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক মেহনতি মানুষদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করছেন আজকের ত্রাণ নিয়ে যাওয়া টিমের সদস্য ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠক সুদর্শন প্রসাদ সিং , সমাজকর্মী সুদর্শন বসু সমীর ব্যানার্জি বা যুব সংগঠক প্রশান্ত নাথ । আজকে ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ডি এন পির নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ । ইমতিয়াজ এবং সি পি আই ( এম এল ) হুগলি জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার দুটি শিবির পরিদর্শন করেন ।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...
Comments
Post a Comment