Skip to main content

নামেই লকডাউন, রাস্তায় একত্রিত অনেক মানুষ - Janobarta Digital


একনজরে প্রতিবেদন :লকডাউন চলছে , কিন্তু মানুষ রাস্তায় । জেলা সদর এর অনেক বাজার অঞ্চলে ধরা পড়ল ভীড়ের ছবি । সাধারণ দিনের থেকে লোক কম হলেও লকডাউনে যেমন হওয়া উচিত ছিল সেই দৃশ্য উধাও । সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের বক্তব্য -এতদিন কাজ নেই , খাবো কি ? এভাবে চলতে পারছি না ।

অধ্যাপক কৌস্তভ ঘোষ রায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান -''লক ডাউন  চলছে। স্বাস্থ বিশেষজ্ঞরা বলছেন কমপক্ষে 49 দিন এর আওতা বাড়ানো উচিত। মতান্তর যে নেই, তাও নয়। এদিকে দিন বাড়ার সাথে সাথে অর্থনৈতিক বিপর্যয় বেড়েই চলেছে। বৃদ্ধির হার প্রতিদিন কমছে দশমিক অবনমন রীতিতে। 

খুচরো বাজার ধ্বংস হয়ে গেছে। কবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তার নির্দিষ্ট দিশা নেই অর্থনীতিবিদ দের কাছে। পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যাওয়াতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার দশা প্রকট। যুদ্ধকালীন তৎপরতা দিয়ে এই কঙ্কালসার দশা কাটিয়ে ওঠা যাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ বলে যে সময়ের দাবি লক ডাউন এক্ষুনি তুলে নেওয়া। অথচ জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিভঙ্গি বলে লক ডাউন আরো বাড়ানো উচিত। দুইয়ের যাঁতাকলে পরে সরকারের নীতিনির্ধারক গোষ্ঠী উভসঙ্কট পরিস্থিতিতে। সাধারণ মানুষ সন্ত্রস্ত। আগামী এক সপ্তাহেই এই চিত্রনাট্যের ক্লাইম্যাক্স। বোঝা যাবে ঠিক কতটা সময় লাগবে মূল স্রোতে ফিরতে''।

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।