ব্যুরো রিপোর্ট: হুগলীর ব্যান্ডেল কেষ্টপুরের বৈষ্ণব মন্দির চত্বরে মাছের মেলা পাঁচশ বারো বছরের পুরানো। প্রতি বছর পয়লা মাঘ একদিনের এই মেলায় জেলা ছাড়িয়ে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন ব্যান্ডেলে। রুই,কাতলা,মৃগেল,কই,বোয়াল, ভেটকি তো আছেই তার সাথে বহু অজানা অচেনা সামুদ্রিক মাছের দেখা মেলে এখানে। থাকে কাঁকড়া এমনকি অনেক সামুদ্রিক প্রাণীও। মেলা দেখে মাছ কিনে পাশেই পিকনিক ও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু বৈষ্ণব মন্দির চত্বরে এই মাছের মেলার পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস। এই এলাকার তৎকালীন রাজা গোবর্ধন মজুমদারের একমাত্র সন্তান রঘুনাথ দাসগোস্বামী মাত্র ষোল বছর বয়সে গৃহ ত্যাগ করেছিলেন নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর স্মরনে। এরপর তিনি বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহন করেন এবং দীর্ঘদিন বাদে তিনি মকরসংক্রান্তি র দিনে ফিরে আসেন এই কেষ্টপুরে। রাজার ছেলে ফিরে এসেছেন এই আনন্দে গ্রামের মানুষ রাজার কাছে দরবার করেন গ্রামের সকল মানুষকে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ঠাকুর বাড়ির উত্তর দিকে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই থেকেই প্রতি বছর হয়ে আসছে এই মাছের মেলা। একদিনের এই মেলায় ঠাকুরের নাম গান থেকে পাশের মাঠে পিকনিক সবই একদিনের জন্যই। এখানে মাছের পাশাপাশি বেতের বোনা ধামাকুলো,ঘর সাজানোর জিনিস থেকে জিলিপি, পাঁপড়ভাজা এখন এই মেলার অঙ্গ। এমনকি মাত্র ৮০ টাকায় আপনি পাবেন মাছ ভাজা, মাছে ভাতে বাঙালীর কাছে যা ১০০ ক্যালোরির সমান।।
Comments
Post a Comment