Skip to main content

হুগলীর রামানন্দবাটীর কবিরাজ বাড়ির ৪০০ বছরের পুরানো দক্ষিণা কালী পুজোর ইতিহাস - Janobarta Digital

রাজেশ মন্ডল, হুগলী: হুগলীর চন্ডীতলা শিয়াখালা রোডে রামানন্দবাটী এলাকার প্রায় সব মানুষই চেনেন। কিন্তু এই রামানন্দবাটী নাম কেন হল তা হয়ত অনেকেরই অজানা। আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগের ইতিহাস খুঁজলে জানা যাবে এই এলাকার কবিরাজ বাড়ীর রামানন্দ কবিরাজ ছিলেন গ্রামের অন্যতম সেরা কবিরাজ।  কথিত আছে একবার বর্ধমানের রাজা গৌরের দৌর (ঘোড়ার দৌড়) এর আয়োজন করেন। সেই প্রতিযেগীতায় পড়ে গিয়ে চোট পান তিনি। বহু চিকিৎসা য় রাজার আরোগ্য না হলে ডাক পরে রামানন্দ কবিরাজ এর। কবিরাজ মহাশয়ের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন মহারাজ। আর তারই ফল স্বরূপ এই গ্রামের কয়েক বিঘা জমি দান করেন কবিরাজকে। 

বাড়ীতে মা দক্ষিনা কালীর পুজো হয়ে আসছিল তার বহু আগে থেকেই। রাজার দানে তা আরোও বিস্তার লাভ করে। পঞ্চমুন্ডীর আসনে অধিষ্টিত এই দেবীর পুজো দক্ষিনা কালী পুজোর নিয়মে হলেও কার্তিক মাসের অমাবশ্যায় পাঁচ প্রহরে পাঁচবার নৈবেদ্য পরিবর্তন করে এবং বাজারের সেরা ফল দিয়ে পুজো হয়ে আসছে ৫৭৬ বছর ধরে। তখনকার নিয়ম মেনে মুসলিম প্রভাবিত এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই এখনও অংশ নেন এই বাড়ীর পুজোয়। কয়েক বছর আগে মন্দির সংস্কারেও এই সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। নিষ্ঠা মেনে চলা এই বাড়ীতে কালীপুজোর রাতের শুরু হওয়া পুজো শেষ হতে পরদিন বেলা এগারোটা বেজে যায়। গ্রামের এবং পরিবারের  মানুষের কাঙালী ভোজন এবং অন্যান্য রীতি মেনে সেই দিন সন্ধায় বিসর্জন হয় কবিরাজ বাড়ীর মা কালী প্রতিমার।।

Comments

ঝলকে ৫

প্রথম দিনেই উন্মাদনা তুঙ্গে ;১৭ তম হুগলী চুঁচুড়া বইমেলা

  একনজরে প্রতিবেদন: প্রথম দিনেই উন্মাদনা তুঙ্গে উঠলো ১৭ তম হুগলী চুঁচুড়া বইমেলার। শনিবার সন্ধ্যা নামতেই লোকের ভিড় লক্ষ্য করা গেল বইমেলা প্রাঙ্গণে। বই নেড়েচেড়ে দেখা সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আড্ডার মেজাজে জমে উঠল হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা। বই বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল প্রথম দিনেই সারা যথেষ্ট ভালো। লিটিল ম্যাগাজিনের টেবিল থেকেও ক্রেতাদের লিটিল ম্যাগাজিন কেনা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। মেলা সম্পাদক গোপাল চাকি জানান প্রথম দিনেই এই উৎসাহ আগে কোন বছর দেখা যায়নি। আশা করছি আগামী দিনে  বইমেলাকে মানুষ উজাড় করে দেবেন। ১৭ তম হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা প্রসঙ্গে এবং অধ্যায় প্রকাশনীর ধীমান ব্রহ্মচারী জানান -

হেঁটেই বার্তা বই কিনুন বই পড়ুন

  একনজরে প্রতিবেদন: বই ও সুস্থ সংস্কৃতির জন্য ১৭তম হুগলি-চুঁচুড়া বইমেলা কমিটির উদ্যোগে এক রঙিন পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হলো ৭ ডিসেম্বর চুঁচুড়ার পিপুলপাতি থেকে চুঁচুড়া ময়দান পর্যন্ত। শহরের ১০০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন, কবি, শিল্পীরা এই পদযাত্রায় অংশ নেন। ক্লাব ব্যাণ্ড, একাধিক ট্যাবলো, রং-বেরঙের পতাকায় সুসজ্জিত এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন যুগ্ম সম্পাদক গোপাল চাকী, সমকাল ও বিবৃতির সম্পাদক অরিত্র শীল, অভিক্রম পত্রিকার সম্পাদক অমিত, সংগীতশিল্পী রাজীব চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী সবুজ পালের মতো বিশিষ্টরাও। প্রসঙ্গত ১৩ থেকে ২১ ডিসেম্বর চুঁচুড়া ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এই বইমেলা। প্রতিবছর এই মেলাকে কেন্দ্র করে শহর চুঁচুড়া একটি সপ্তাহ আনন্দে মেতে ওঠে। মেলার সম্পাদক গোপাল চাকী বলেন -আজকাল বই পড়েনা বলে একটি কথা চালু আছে,কিন্তু আমাদের মেলায় ৫২ লক্ষ টাকার বই বিক্রি এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ বই পড়ে এবং এখনও বই এর টানে মেলায় আসে। গোপাল চাকী আরও জানান, এ বছর হুগলি চুঁচুড়া বইমেলায় আরো বেশি বইপ্রেমী মানুষের অংশগ্রহণ করবেন বলেই তার বিশ্বাস।সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকার সম্পাদক অরিত্র শীল বলেন, এবছর হুগলি চুঁচুড়া বইমে...