জনবার্তা ডিজিটাল : ঢাকে কাঠি পড়েছে মহালয়ার দিন থেকেই। পাড়ায় পাড়ায় পুজো প্রস্তুতিও তুঙ্গে, রাতদিন এক করে চলছে মন্ডপ সজ্জার কাজ। ঘুম উড়েছে বারোয়ারি গুলির। এই সমস্ত হার ভাঙা খাটুনিকে তকমা দিতে এসে পৌঁছে গেছে "১১তম বার্ষিক হুগলী জেলা সেরা পুজোর সন্ধানে ২০১৮"। শিল্পীদের কঠোর পরিশ্রম আর পুজো কমিটির সদস্যদের অনুপ্রেনিত করতে প্রতি বছরের মতো এবছর তৈরি R.P. PRODUCTION(Capturing Hooghly)। তবে এবছর কিন্তু তাঁরা নিজেদের ব্যাসার্ধ বাড়িয়ে চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, ব্যান্ডেল এর পাশাপাশি পৌঁছে গেছে হুগলী জেলার একদম শেষ প্রান্ত জিরাট, বলাগড়, গুপ্তিপাড়ার মতো উন্নত গ্রাম্য অঞ্চলেও।
হাতে গোনা এই চৌহাদ্দির বাইরে গিয়ে বারোয়ারীর পুজো গুলিকে বিচারের আসনে বসানো কিন্তু মোটেও চারটিখানি কথা নয়, আর এর জন্য মূল অবদান কিন্তু আপনারই। আপনার সহযোগিতা না হলে কখনই এই ১১ বছরের পথ চলা এতটা সুগম হয়ে উঠতো না। এমনটাই দাবি R.P. Production এর কর্নধার রাজেশ মন্ডল ও প্রণব বন্দোপাধ্যায়ের। এছাড়াও প্রোডাকশনের অন্যতম সদস্য দিলুয়ার হুসেন, প্রভাত মুখার্জী 'র সহযোগিতা তো তুলনাহীন বলেই মনে করেন তাঁরা।
এবছরের তাঁদের বিচারকের আসনে থাকছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কবি অরুন চক্রবর্তী, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী শৈলেন নন্দী, বাবলু সাঁতরা(জয়েন্ট বিডিও,বলাগড়), চিত্রশিল্পী বিবেকানন্দ রায়, শ্রেষ্ঠা মুখার্জী, সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নেহা চক্রবর্তী, সমীর মুখার্জী, শ্রেষ্ঠা দে, গৌতম মোদক, রাখী মন্ডল, সঙ্গীত শিল্পী ও মৃৎশিল্পী আদিত্য পাল, সমাজসেবী প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জী, রত্না ভট্টাচার্য্য, জেলা সাংবাদিক অনুপ প্রামাণিক।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে "সেরা পুজোর সন্ধানের" ট্যাবলো গুলি। জেলার মুখ্য জায়গাগুলি এখন মুখ ঢেকেছে "সেরা পুজোর সন্ধানের" ২০ - ১০ হোডিংয়ে। "সেরা পুজোর সন্ধানে" যাবে আপনার পাড়ায়, সঙ্গে থাকবো আমরাও অর্থাৎ "একনজরে হুগলী চুঁচুড়া"। সঙ্গে থাকুন আর আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উপভোগ করুন শারদ উৎসব ২০১৮। আবারও বলছি তৈরী থাকুন, আমরা যাবো আপনার পাড়ায়।।
Comments
Post a Comment