Skip to main content

নজরে ভ্রমণে আজ "জয়পুরের জয় যাত্রা" - Janobarta Digital


জয়পুর বাঁকুড়া - প্রথম দিন

ঠিক হয়েছিল এক মাস আগে কিন্তু পক্স এ পড়ে কেস টা খেলাম। যাহ!আর বোধ হয় যাওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত সুস্থ হলাম, গন্তব্য "জয়পুর"। তিনটি বাইকে মোট ছয় জন। ভোর বেলা বেড়িয়ে ১১৯ কিমি পথ পেরিয়ে জয়পুর ঢুকলাম ৯ টা। স্নান-টান করে বেড়িয়ে পড়লাম জঙ্গল দেখতে।
জয়পুর জঙ্গল এ আপনি গেলেই যে পরপর স্পট পাবেন তা  নয়, এটা সম্পূর্ণ উপভোগ করার জয়াগা। চারিদিকে একটা অদ্ভুত নীরব প্রকৃতি। পাতার শব্দ টুকু ও আপনার কানে আসবে, ঘন শাল বনের জঙ্গল,পাখির ডাক, এ এক অসামান্য পরিবেশ। জঙ্গল এর রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে নজরে পড়বে বৃটিশ আমলের এয়ারপোর্ট।
হাতি এবং চিতল হরিণ এর বিচরণ ক্ষেত্র এই জায়গা ভাগ্য ভলো থাকলে দেখা মিলতেই পারে। আমরা পাইনি যদিও। দুপুরে আহার সারলাম এমু আর কোয়েল পাখির মাংস ও ভাত দিয়ে। বনলতা রিসর্ট এ এগুলি চাষ হয়। সন্ধে নামলেই জঙ্গল এর রূপ অন্যরকম। নীরবতা আপনকে ঘিরে ধরবে। আমরা একটু রিস্ক নিয়ে রাত ১১ টায় বেড়িয়েছিলাম।দুধারে জঙ্গল মঝে রাস্তা দিয়ে আলো নিভিয়ে গাড়ি চালাতে একদিকে ভয় ও আছে ভলো লাগাও আছে। ডিনার সারলাম হাঁস আর টার্কির কষা দিয়ে।ঊহ্ কি যে স্বাদ বলে বোঝানো যাবে না।রাতে একটা ফাটাফাটি ঘুম।সকালে যাব বিষ্ণুপুর।


বিষ্ণুপুর যাত্রা- দ্বিতীয় দিন

তো...! জয়পুর ছাড়লাম সকাল সকাল। আজ যাবো মন্দির শহর বিষ্ণুপুর। জয়পুর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূর। আপনারা যারা ঘাটশিলা গেছেন বিষ্ণুপুর ঢুকে ঘাটশিলার কথা মনে পড়বে। লাল মাটির ছোট্ট শহর।
তবে খুব অপরিচ্ছন্ন। যাই হোক একাধিক মন্দির আপনি দেখতে পাবেন। মল্ল রাজা দের সময়কার এত মন্দির সব গুলোর নামও মনে নেই। পুরাতত্ত্ব বিভাগ এর যত্নে ললিত এই মন্দির গুলি।
ইতিহাস এর ছাপ সব জায়গায়। মাত্র ১৫/- টাকা টিকিট কেটে সব মন্দির গুলি ঘুরে ফেলা যায়। দলমাদল কামান আপনাকে নিয়ে যাবে একশ বছর আগে এর কোন এক দিনে।
ছিন্নমস্তার মন্দির ভলো লাগবে। সেই সাথে বিষ্ণুপুর এর টেরাকোটার হস্ত শিল্পের জিনিস কিনতে ভুলবেন না। প্রতিটি সৃষ্টি অসামান্য, ছবি দিলাম। সব মন্দির গুলির নাম মনে নেই।।


লেখা: শুভদীপ দে

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা, WhatsApp করুন এই নম্বরে: 70032 36180(লেখা এবং ছবিসহ), আপনার অভিজ্ঞতা আমরা পৌঁছে দেবো ৬৫ হাজার দর্শকের কাছে।
[ ন্যূনতম ৭টি ছবি এবং অধিকতম ১০টি ছবি ]

Comments

ঝলকে ৫

প্রথম দিনেই উন্মাদনা তুঙ্গে ;১৭ তম হুগলী চুঁচুড়া বইমেলা

  একনজরে প্রতিবেদন: প্রথম দিনেই উন্মাদনা তুঙ্গে উঠলো ১৭ তম হুগলী চুঁচুড়া বইমেলার। শনিবার সন্ধ্যা নামতেই লোকের ভিড় লক্ষ্য করা গেল বইমেলা প্রাঙ্গণে। বই নেড়েচেড়ে দেখা সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আড্ডার মেজাজে জমে উঠল হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা। বই বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল প্রথম দিনেই সারা যথেষ্ট ভালো। লিটিল ম্যাগাজিনের টেবিল থেকেও ক্রেতাদের লিটিল ম্যাগাজিন কেনা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। মেলা সম্পাদক গোপাল চাকি জানান প্রথম দিনেই এই উৎসাহ আগে কোন বছর দেখা যায়নি। আশা করছি আগামী দিনে  বইমেলাকে মানুষ উজাড় করে দেবেন। ১৭ তম হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা প্রসঙ্গে এবং অধ্যায় প্রকাশনীর ধীমান ব্রহ্মচারী জানান -

হেঁটেই বার্তা বই কিনুন বই পড়ুন

  একনজরে প্রতিবেদন: বই ও সুস্থ সংস্কৃতির জন্য ১৭তম হুগলি-চুঁচুড়া বইমেলা কমিটির উদ্যোগে এক রঙিন পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হলো ৭ ডিসেম্বর চুঁচুড়ার পিপুলপাতি থেকে চুঁচুড়া ময়দান পর্যন্ত। শহরের ১০০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন, কবি, শিল্পীরা এই পদযাত্রায় অংশ নেন। ক্লাব ব্যাণ্ড, একাধিক ট্যাবলো, রং-বেরঙের পতাকায় সুসজ্জিত এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন যুগ্ম সম্পাদক গোপাল চাকী, সমকাল ও বিবৃতির সম্পাদক অরিত্র শীল, অভিক্রম পত্রিকার সম্পাদক অমিত, সংগীতশিল্পী রাজীব চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী সবুজ পালের মতো বিশিষ্টরাও। প্রসঙ্গত ১৩ থেকে ২১ ডিসেম্বর চুঁচুড়া ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এই বইমেলা। প্রতিবছর এই মেলাকে কেন্দ্র করে শহর চুঁচুড়া একটি সপ্তাহ আনন্দে মেতে ওঠে। মেলার সম্পাদক গোপাল চাকী বলেন -আজকাল বই পড়েনা বলে একটি কথা চালু আছে,কিন্তু আমাদের মেলায় ৫২ লক্ষ টাকার বই বিক্রি এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ বই পড়ে এবং এখনও বই এর টানে মেলায় আসে। গোপাল চাকী আরও জানান, এ বছর হুগলি চুঁচুড়া বইমেলায় আরো বেশি বইপ্রেমী মানুষের অংশগ্রহণ করবেন বলেই তার বিশ্বাস।সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকার সম্পাদক অরিত্র শীল বলেন, এবছর হুগলি চুঁচুড়া বইমে...