Skip to main content

ব্যান্ডেলে ব্রিজের গার্ডওয়াল ভেঙে নদীতে পড়ল লড়ি - Janobarta Digital

রাজেশ মন্ডল, হুগলী: আজ মধ্যরাতে ব্যান্ডেল দেবনন্দপুর অঞ্চলের হলুদ সেতু থেকে নিচে পরে গেল মাদার ডায়েরির একটি দুধ বোঝাই লড়ি। ঘটনার কথা জানা জানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে সাধারণ মানুষ ও বিশেষত ব্রিজের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে। সাধারণ মানুষের মারফত খবর যায় স্থানীয় ব্যান্ডেল ফাঁড়ি ও চুঁচুড়া থানায়। তার কিছুক্ষনের মধ্যেই চুঁচুড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চুঁচুড়া থানার IC নিরুমপ ঘোষ। জানা গেছে লড়িটি মূলত ডানকুনি থেকে মাদার ডায়েরির দুধ সাপ্লাই করতে আসছিল ব্যান্ডেল অঞ্চলে। দিল্লি রোডের দিক থেকে আসছিল লরিটি, একটু বাঁদিক চাপতেই আনুমানিক দুইশত বছরের পুরানো সেতুর রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায় লরিটি। অল্পের জন্য রেহাই পায় লরির ড্রাইভার ও খালাসি।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত রায় বলেন, দিল্লিরোড থেকে জি.টি.রোড ও ব্যান্ডেল বাজারে আসার এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। তাছাড়া ব্যান্ডেল বাজার জেলার সবজি আড়ৎ গুলির মধ্যে একটি অন্যতম। সেদিক দিয়ে দেখলে অনেক গাড়িই বাইরে থাকে ঢুকতে পারবে না বাজারে। PWD এর নির্দেশজারি করা ছিল এখানে যে ৮টনের বেশি গাড়ি যাতাওয়াত করা নিষেধ, এমনকি সাইন বোর্ড লাগানো থাকা সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি। দেদার যেত ভারী গাড়ি। কিছুদিন আগেই এই সেতু থেকে একটা ট্রাক্টর নিচে পরে যায়। সেখানেও অল্পের জন্য রক্ষা পায় এক শিশু ও তার মা। তারপর আবার এটা। আমাদের এখন একটাই দাবী যে অবিলম্বে এই মেরামত করে চলার যোগ্য করে দেওয়া হোক এবং এর পাশেও জায়গা নিয়ে একটা নতুন ব্রীজ বানিয়ে দেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, এই রাস্তা ছিল বেশ কয়েকটি কলেজ কলেজের সংযোগকারী একমাত্র রাস্তা কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের তোহ বিরাট অসুবিধার মুখে পড়তে হবে। আবার অন্য দিকে রাজহাট অঞ্চলের বাসিন্দাদের সদর চুঁচুড়ার সাথে পাশাপাশি ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের সাথে যুক্ত করার জন্যেও ছিল এটাই প্রধান রাস্তা।

বেশ কিছুটা অসুবিধার মধ্যেই দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বপন বাবু তাঁর বক্তব্যের মধ্যে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন। এখন দেখার কবে স্বাভাবিক হয় এই সেতু।।

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।