Skip to main content

EXCLUSIVE : পার্কিং সমস্যা ও আবর্জনায় জেরবার চুঁচুড়া সদর হাসপাতাল - Janobarta Digital

পার্কিং সমস্যা ও আবর্জনায় জেরবার চুঁচুড়া সদর হাসপাতাল


জনবার্তা ডিজিটাল: জেলার সবচেয়ে বেশি শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল। স্বভাবতই চুঁচুড়া হাসপাতালের চাপ জেলার অন্য হাসপাতাল গুলির থেকে বেশি। পাণ্ডুয়া, বলাগড়, ধনিয়াখালী, পোলবা, মহানাদ ও শহরতলির বহু মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। বিপুল পরিমাণে রোগী আসার ফলে হাসপাতালের পরিছন্নতার দিকটি ব্যাপক ভাবে অবহেলিত। হাসপাতাল চত্তরে একাধিক জায়গায় জমে থাকে নোংরা ও বর্জ্য পদার্থ। সিঁড়ি ও থাম গুলিতে পান ও গুটকার পিক্ এর ফলে একদিকে যেমন দৃশ্য দূষণ হচ্ছে অন্যদিকে হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা হচ্ছে। হাসপাতালের দুই ওয়ার্ড এর মাঝের স্তূপাকার ময়লা এর থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে দূষণ। বাড়ছে মশা মাছির উপদ্রপ। ইমামবাড়া হাসপাতালের আরও একটি বড়ো সমস্যা হলো পার্কিং।
EXCLUSIVE FOOTAGE

হাসপাতাল চত্বরের অধিকাংশ জায়গাই টোটো ও প্রাইভেট এম্বুলেন্সের দখলে। প্রতিদিন অন্তত একশো বাইক এবং সাইকেল দাঁড়িয়ে থাকে নো পার্কিং জোনে। এর ফলে সব থেকে বড়ো সমস্যার সম্মুখীন হয় বহিরাগত এম্বুলেন্স গুলি। রোগী নিয়ে এসে নামানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পরে রোগীর পরিবার পরিজন। হাসপাতলের বাইরের রাস্তা এমনিতেই সঙ্কীর্ণ, তার উপর আটো, টোটো ও বাসের মিলিত যানজট এই রাস্তা রাস্তাটিকে আরও দুর্বিষহ করে তোলে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার উজ্বলেন্দু বিকাশ মন্ডল বলেন, নিয়মিত হাসপাতাল পরিষ্কার করার জন্য একটি সংস্থাকে দ্বায়িত্ব করা আছে তারা 'বায়ো ওয়েস্ট' সংগ্ৰহ করে থাকেন এবং বাকি অংশের নোংরা পরিষ্কারের দ্বায়িত্ব চুঁচুড়া পুরসভার।

পার্কিং সমস্যা নিয়ে তিনি সম্পুর্ন দায়ভার চাপায়েছেন পুলিশ কতৃপক্ষের উপর। পান গুটকার পিক যত্রতত্র ফেলা নিয়ে তিনি জনগণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। প্রায় অনেকটা একই সুরে হুগলী চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, মানুষ সচেতন না হলে হাসপাতালের অব্যবস্থাকে রোধ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, হাসপাতলের ব্যাপারে পুরসভা যথাযথ দ্বায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে, হাসপাতাল কতৃপক্ষকে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ তিনি দেন।।

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।