Skip to main content

প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে মানাসলু শৃঙ্গ জয় করলেন চন্দননগরের পিয়ালী বসাক

পিয়ালী বসাক (ছবি: ফেসবুক প্রোফাইলের সৌজন্যে)

জনবার্তা ডিজিটাল: পৃথিবী অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ জয় করলো হুগলীর চন্দনননগরের পিয়ালী বসাক। আজকে থেকে ২৪ঘন্টা আগেও এই নামটার সাথে খুব একটা পরিচয় ছিল সাধারণ মানুষের বা দেশবাসীর। কিন্তু এখন গোটা দেশ জুড়ে বেশ পরিচিত নাম এই পিয়ালী বসাক। আর হবেই না বা কেন, পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলু'র শীর্ষে পৌঁছে নজির করলেন পিয়ালী।

চন্দননগর শহরের কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দা পিয়ালী। মা, বাবা, বোন কে নিয়ে তাঁর পরিবার। ছোট থেকেই বেশ ডানপিটে সে, অন্যান্য মেয়েদের থেকে একটু অন্য ঘরানার সে। আর পাঁচ জনের মতো পড়াশোনার বাইরে নাচ, গান, আবৃত্তি দিয়ে নয় তাঁর প্রথম হাতেখড়ি হয় তাইকুন্ড দিয়ে, সেখানেও সাফল্য তার পিছু ছাড়েনি। তারপর বড়ো হয়ে ওঠা, স্নাতক পাশ করার পর বন্ধুবান্ধবদের মতো রুজি রোজগারের দিকে না হেঁটে সে হেঁটে ছিল তার লক্ষ্যে দিকে। গত ১লা সেপ্টেম্বর মানাসলু উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল পিয়ালী, ২৬ দিনের মাথায় সাফল্য তাকে আঁকড়ে ধরলো।

মেয়েকে যখন লক্ষ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন পিয়ালীর পরিবার তখন একটু হলেও মনে ভয় দানা বেঁধেছিল। ভগবানের কাছে পরিবারের একটাই প্রার্থনা মেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক বাড়ি ফিরে আসুক। আর তরপরই পিয়ালীর এই সফলতার কথা জানাজানি হতেই গর্বে মাথায় উঁচিয়ে চলছে এখন পিয়ালীর পরিবার। বাড়িতে শুধুই এখন আনন্দ বিরাজমান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে শুভেচ্ছা। এখন মেয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় পিয়ালী বসাকের পরিবার।।

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।