Skip to main content

ভ্রমণ আড্ডা: "পূর্ব-সিকিমের আগমলোক - ধুপিদাঁড়া, প্রকৃতি সেথায় পাগলপারা" - Janobarta


"পূর্ব-সিকিমের আগমলোক- ধুপিদাঁড়া... প্রকৃতি সেথায় পাগলপারা"


শুভদীপ নন্দী: 'Old Silk Route' অর্থাৎ "প্রাচীন রেশম পথ", এই পথের টানেই এবারের গরমের ছুটিতে আমাদের  গন্তব্য ছিল স্বল্প পরিচিত দুটি জায়গা 'আগম লোক ও ধুপি দাঁড়া',খুব সুন্দর  শিল্পীর তুলিতে রূপ পাওয়া  কোনো অচিন পুরি। অথচ কিছুকাল আগেও এই জায়গা গুলিতে মন চাইলেও থাকার কোনো ব্যবস্থা ছিলনা,বাধ্য হয়ে অপেক্ষাকৃত ভীরাক্রান্ত ও উচ্চতায় জুলুক এ রাত কাটাতে হতো।
এরজন্য উচ্চতা জনিত কিছু শারীরিক সমস্যা দেখাদিতো।কিন্তু,বর্তমানে এই    আগমলক ও ধুপি দাঁড়ায় হোম স্টে থাকায় কম উচ্চতায় শরীরকে মানিয়ে নিয়ে  ঘোরা- ঘুরির অনেক সুবিধা হয়েছে। মনে করলে এই স্থান কে বুড়ি করে প্রাচীন রেশম পথ ঘোরা সাঙ্গ করা যায়।পূর্ব-সিকিমের আগমলোক থেকে অবারিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ও সাপর্ষদ অন্যান্য তুষার-শৃঙ্গ দৃশ্যমান।আরও দেখাযায় সিঙ্গালীলা রেঞ্জ,ভুটান পাহাড়,নিচের দিকে লিংতাম ও তার আশেপাশের চোখ জুড়ানো সবুজ উপত্যকার নিসর্গ।
প্রাচীন রেশম পথ বা ওল্ড সিল্ক রুট এর প্রবেশপথ এই লিংতাম,যার উচ্চতা সাড়ে চার হাজার ফুটের মতো,আর চড়াই পথে আট কিমি. এগিয়ে   আগমলোক,উচ্চতা ছ হাজার ফুট।এই জায়গাটিকে স্থানীয় লোকে আপার লিংতাম বলে ।  লিংতাম থেকে মাত্র আধ ঘন্টার রাস্তা।আগমলোকের শীর্ষে রয়েছে ছোট্ট অথচ  সুন্দর এক মন্সট্রি।অবস্থান গুনে যা মনোমুগ্ধকর।মন্সট্রির চাতাল থেকে রজত-শুভ্র অনেক পর্বত শৃঙ্গ দৃশ্যমান। 
ছবিতে শুভদীপ নন্দী
এইবার পরের গন্তব্য পদমচেন ও জুলুক হয়ে থাম্বি ভিউপয়েন্ট পেরিয়ে ধুপিদাঁড়া উচ্চতা এগারো হাজার  দুশো ফুট,এখানেও কাঞ্চনজঙ্ঘা ও অন্যান্য বরফাদৃত পর্বতশৃঙ্গ  সাপর্ষদ হাজির।ফেলে আসা  পথের অসংখ্য বাঁক এর দৃশ্য  অসাধারণ।এখানেও অধুনা হোম স্টে হয়েছে।এক কথায়  প্রাচীন রেশম পথে ঘরে বসে রজতশুভ্র উন্মুক্ত পর্বতশৃঙ্গ দেখার আদর্শ স্থান। 

এইবার আসি যাওয়াআসা ও থাকা- খাওয়ার কথায়,শিয়ালদহ, হাওড়া থেকে এন. জে. পি যাবার অনেক ট্রেন,তার যে কোনো একটায় চড়ে সকাল-সকাল  এন জে পি পৌঁছে সুমো বা বোলেরো (প্রাচীন রেশম পথে সঙ্গে গাড়ি রাখা অবশ্যই দরকারি) দিন চারেক এর চুক্তিতে যাওয়া যেতে পারে। আগমলোকে সিল্করুট "দ্য বসেরা রিসর্ট" (আপার লিংতাম,09734400440 এক মাত্র  মাথাগোঁজার ঠিকানা, 1200-1500 টাকা দ্বি-শয্যা ঘর,খাওয়া-দাওয়ার ব্যাবস্থা আছে। 

ধুপিদাঁড়ায় লামথাং হোম স্টে,খাওয়া থাকা মাথা পিছু 900/- (যোগাযোগ: 8436649001)। গাড়ির জন্য ফোনে:দীনেশ ছেত্রী (যোগাযোগ: 7031308508)ও ললিত রাই(যোগাযোগ: 09775915047

জরুরি তথ্য: সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে শুকনো খাবার ও পানীয়জল থাকা প্রয়োজন,    বাচ্চা ও প্রবীণদের  বেশি। লম্ফ-ঝম্প একেবারেই নয়। সংযোজন:বৃষ্টির দিনগুলিতে এবংশীতে তাপমাত্রা শূন্যডিগ্রি র নিচে অবস্থান করে,উপযুক্ত     শীতবস্ত্র,উচ্চতাজনিত অসুবিধা থেকে রেহাই পেতে যাত্রার আগের দিন থেকে কোকা-৬ খাওয়া, সঙ্গে রাখা  খুবই প্রয়োজন।প্রাচীন রেশম পথ ভ্রমণকালে মোবাইল নেট  ওয়ার্ক,ইলেক্ট্রিসিটি পরিষেবা ব্যাহত হয় এ ব্যাপারটা মাথায় রেখে ভ্রমণ করলে  কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ছবি: শুভদীপ নন্দী ও
 শুভায়ন নন্দী

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা, WhatsApp করুন এই নম্বরে: 70032 36180(লেখা এবং ছবিসহ), আপনার অভিজ্ঞতা আমরা পৌঁছে দেবো ৬৫ হাজার দর্শকের কাছে।
[ ন্যূনতম ৭টি ছবি এবং অধিকতম ১০টি ছবি ]



Comments

Post a Comment

ঝলকে ৫

প্রথম দিনেই উন্মাদনা তুঙ্গে ;১৭ তম হুগলী চুঁচুড়া বইমেলা

  একনজরে প্রতিবেদন: প্রথম দিনেই উন্মাদনা তুঙ্গে উঠলো ১৭ তম হুগলী চুঁচুড়া বইমেলার। শনিবার সন্ধ্যা নামতেই লোকের ভিড় লক্ষ্য করা গেল বইমেলা প্রাঙ্গণে। বই নেড়েচেড়ে দেখা সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আড্ডার মেজাজে জমে উঠল হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা। বই বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল প্রথম দিনেই সারা যথেষ্ট ভালো। লিটিল ম্যাগাজিনের টেবিল থেকেও ক্রেতাদের লিটিল ম্যাগাজিন কেনা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। মেলা সম্পাদক গোপাল চাকি জানান প্রথম দিনেই এই উৎসাহ আগে কোন বছর দেখা যায়নি। আশা করছি আগামী দিনে  বইমেলাকে মানুষ উজাড় করে দেবেন। ১৭ তম হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা প্রসঙ্গে এবং অধ্যায় প্রকাশনীর ধীমান ব্রহ্মচারী জানান -

হেঁটেই বার্তা বই কিনুন বই পড়ুন

  একনজরে প্রতিবেদন: বই ও সুস্থ সংস্কৃতির জন্য ১৭তম হুগলি-চুঁচুড়া বইমেলা কমিটির উদ্যোগে এক রঙিন পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হলো ৭ ডিসেম্বর চুঁচুড়ার পিপুলপাতি থেকে চুঁচুড়া ময়দান পর্যন্ত। শহরের ১০০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন, কবি, শিল্পীরা এই পদযাত্রায় অংশ নেন। ক্লাব ব্যাণ্ড, একাধিক ট্যাবলো, রং-বেরঙের পতাকায় সুসজ্জিত এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন যুগ্ম সম্পাদক গোপাল চাকী, সমকাল ও বিবৃতির সম্পাদক অরিত্র শীল, অভিক্রম পত্রিকার সম্পাদক অমিত, সংগীতশিল্পী রাজীব চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী সবুজ পালের মতো বিশিষ্টরাও। প্রসঙ্গত ১৩ থেকে ২১ ডিসেম্বর চুঁচুড়া ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এই বইমেলা। প্রতিবছর এই মেলাকে কেন্দ্র করে শহর চুঁচুড়া একটি সপ্তাহ আনন্দে মেতে ওঠে। মেলার সম্পাদক গোপাল চাকী বলেন -আজকাল বই পড়েনা বলে একটি কথা চালু আছে,কিন্তু আমাদের মেলায় ৫২ লক্ষ টাকার বই বিক্রি এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ বই পড়ে এবং এখনও বই এর টানে মেলায় আসে। গোপাল চাকী আরও জানান, এ বছর হুগলি চুঁচুড়া বইমেলায় আরো বেশি বইপ্রেমী মানুষের অংশগ্রহণ করবেন বলেই তার বিশ্বাস।সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকার সম্পাদক অরিত্র শীল বলেন, এবছর হুগলি চুঁচুড়া বইমে...