সুজল কুমার সাউ নামের এক বছর আটের শিশুকে গত ১৪ই আগস্ট চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল সংলগ্ন অঞ্চলে ঘুরতে দেখা যায়। পরবর্তীকালে সেই শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালের সেবিকারা। পরে জানা যায় সুজল কুমার সাউ ভদ্রেশ্বর তেলেনি পাড়ার বাসিন্দা, বছর চারেক আগে শিশুটির মা মারা যায়, ৮ মাস আগে বাবাও মারা যায়। আট মাস আগে যখন শিশুটির বাবার চিকিৎসা হয় ইমামবাড়া সদরে, সেই সূত্রে তখন হাসপাতাল সেবিকাদের সাথে বেশ পরিচিত হয়ে সুজল এর, কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর বাড়ি ফিরে যেতেই অনাথ শিশুটির উপর অত্যাচার করতে থাকে আত্মীয় পরিজনেরা। তারপর সে পালিয়ে আসে চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখান থেকেই ওকে সেবিকারা উদ্ধার করে চুঁচুড়া আরোগ্যের কাছে নিয়ে আসে সুজলের দেখভালের জন্য। এরপর আরোগ্যের তরফে ওকে পাঠানো হয় অদিসপ্তগ্রাম বিবেকানন্দ আশ্রমে। এরপর বেশ কিছুদিন ওখানে থাকে, কিন্তু আশ্রমের মুখ্য ভাষা বাংলা হওয়ায় ওখানে সুজলকে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই কারনে চুঁচুড়া আরোগ্যের তরফে আবার ফিরিয়ে আনা সুজলকে, এরপর চুঁচুড়া থানার সি.আই এর কাছে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ সুজলকে উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাইল্ড কেয়ার এর উপর তুলে দিচ্ছে ওর আগামীদিন গুলো যাতে সুস্থ স্বাভাবিক আর পাঁচটা শিশুর মতো কাটাতে পারে। চুঁচুড়া আরোগ্য, হাসপাতালের সেবিকা ও পুলিশের এই উদ্যোগকে আমাদের কুর্ণিশ। এবং সুজলের উজ্জ্বল ভবিষৎ কামনা করি। এই প্রসঙ্গে আরোগ্যের কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, দেখুন ভিডিও।।
ছবি:অসীম ভট্টাচার্য একনজরে প্রতিবেদন:গতকাল প্রকাশ পেল সমকাল ও বিবৃতির কবিতা উৎসবের স্মরণিকা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সারাদিনের কবিতা উৎসবে যে সকল কবি কবিতা পাঠে অংশ নেন তাদের শ্রেষ্ঠ কবিতা নিয়েই এই সংকলন।পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার অক্ষয় কুমার আঢ্য ,কবি প্রবীর রায়চৌধুরী, দেবজাত,কবি দীপক রায়,ডাক্তার অর্চনা ভট্টাচার্য সহ শহরের একাধিক কবি সাহিত্যিক ও শিল্প মনস্ক মানুষ। অনুষ্ঠানে কৃষ্টি চট্টোপাধ্যায় এর গান ও পাঁচ নারীর বলয় নামাঙ্কিত বিশেষ গান ও কবিতার কোলাজ ছিলো উল্লেখ্য।পত্রিকার সম্পাদক অরিত্র শীল বলেন এটা একটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।৮০ জন কবির শ্রেষ্ঠ কবিতা দুই মলাটের মধ্যে ধরার চেষ্টা হয়েছে।এই কাজ আগে কখনো হয়নি।আশা করবো পত্রিকাটি মানুষের কাছে ভীষণ ভাবে সাড়া ফেলবে।