Skip to main content

নেতাজী ঘনিষ্ঠ সহকর্মী স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপেশচন্দ্র মল্লিকের জীবনকথা

দেশনায়ক নেতাজীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপেশচন্দ্র মল্লিকের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ছবি: প্রসূন মল্লিকের সৌজন্যে


প্রসূন মল্লিক (গোপেশ পরিবারের সদস্য): হুগলী চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজারে ১৯০৯ সালের ২রা এপ্রিল গোপেশচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন । প্রখ্যাত ডাক্তার প্রসাদদাস মল্লিকের ( ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের গৃহচিকিৎসক ) পুত্র ছিলেন গোপেশচন্দ্র ।

বাল্যকাল থেকে পড়াশুনায় মেধার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রতি অত্যন্ত ভালবাসা ছিল । শিক্ষিত হয়েও তিনি চাকরী না করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন । বিপ্লবী জীবনে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ, অশোক ঘোষ, গণেশ ঘোষ, ভূপতি মজুমদার সহ অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংস্পর্শে আসেন । গোপেশচন্দ্র হুগলী জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন , নেতাজী ১৯৩৯ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করলে গোপেশচন্দ্র  ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন । পরবর্তী কালে গোপেশচন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সদস্য হন । সুবর্ণ বণিক সমাজের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন । এছাড়া হুগলী পূর্ব রেলের সভাপতি, হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার উপ পুরপ্রধান সহ বিভিন্ন নামি দামি সংস্থার সভাপতিত্ব করেন । স্বাধীনতা আন্দোলন ছাড়াও গোপেশচন্দ্র খাদ্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন । বিপ্লবী জীবনে বহুবার কারাবরন করেছেন নানা বিপ্লবীদের সঙ্গে । বিপ্লবী গনেশ ঘোষ, জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ ,   অশোক ঘোষ , ভূপতি মজুমদার প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপেশচন্দ্র মল্লিকের সহকর্মী ছিলেন ।

এছাড়া গোপেশচন্দ্র দানবীর মানুষ ছিলেন । নিজ সম্পত্তির অনেক অংশ মানুষের কল্যাণার্থে দান করেন ।। 

১৯৯৩ সালের ২৭ শে জুলাই গোপেশচন্দ্র মল্লিক পরলোকগমন করেন । তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে চুঁচুড়ার বুকে একটি লাইব্রেরী ও তাঁর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ।

গোপেশ পরিবারের পক্ষে গোপেশ মল্লিকের প্রপৌত্র প্রসূন মল্লিক :-  স্বর্গীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও  গোপেশচন্দ্র মল্লিক ছিলেন দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সহকর্মী ও অনুগামী । তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে তিনি হুগলী জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন ও পরবর্তীকালে ১৯৩৯ সালে নেতাজী ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করলে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেন ও আমৃত্যু দলের নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন । পরাধীন ভারতে নেতাজীর আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন । বহুবার বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের জন্য কারাবরণ করতে হয়েছে । এছাড়াও তিনি খাদ্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন । তিনি ভারতবর্ষের দ্বিখণ্ডিত স্বাধীনতাকে কখনোই মেনে নিতে পারেননি । তিনি নেতাজীর অখণ্ড ভারতবর্ষের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন । পরবর্তীকালে হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার উপ পুরপ্রধান পদে আসীন হয়েছিলেন । এছাড়াও বহু সমাজসেবী সংস্থার সভাপতিত্ব করেন । গোপেশচন্দ্র মল্লিকের চিন্তাধারা ও তাঁর সংগ্রামী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই । আজকের দিনে ১৯৯৩ সালে তিনি পরলোকগমন করছিলেন । তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি । তাঁকে আমি কখনও নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য লাভ করিনি । তাঁর সম্পর্কে বহু মানুষের কাছে অনেক কিছু জেনেছি । তাঁর মৃত্যুর পর হুগলী চুঁচুড়াতে গোপেশচন্দ্র মল্লিক স্মৃতি রক্ষা কমিটি তামলীপাড়াতে একটি গ্রন্থাগার ও বকুলতলা মোড়ে তাঁর পূর্ণবয়ব আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করেছেন । তাঁদের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই । ধন্যবাদ ।।







একনজরে হুগলী চুঁচুড়া নিবেদন করছে...



OFFICIAL BLOGPOST OF EKNOJORE HOOGHLY CHUCHURA

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।