Skip to main content

সঙ্গীতকর্মীদের দিকে নজর দিক সরকার আবেদন হুগলি জেলা সঙ্গীত মেলার


একনজরে প্রতিবেদন :লকডাউন অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক মন্দা ডেকে এনেছে। সমাজের সব স্তরের মানুষই আজ সংকটের মুখে । বৃহত্তর সমাজের দিনমজুর, দিন-আনি-দিন-খাই মানুষের জন্য অত্যন্ত চিন্তার পাশাপাশি নিজস্ব বৃত্তের একটা বড়ো অংশের মানুষজনের জন্যও উৎকন্ঠায়। এরা প্রায় প্রত্যেকেই গানবাজনা অথবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সংগে যুক্ত। এদের কেউ সংগীতশিল্পী, কেউ বাদ্যযন্ত্রী, কেউ শব্দপ্রক্ষেপণ করেন, কেউ আলো দেন, কেউ একটা ছোটো স্টুডিও চালান, কেউ শিল্পীদের সাথে আয়োজক সংস্থার যোগাযোগ করিয়ে দেন, কেউ মঞ্চ নির্মাণ করেন। না, সেই অর্থে এরা "দিনমজুর" বা "অসংগঠিত শিল্পের মানুষ" নন। 

কিন্তু এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ থেকেই তারা নিজের পেট চালান, পরিবারের ভরণপোষণ করেন। সংগীত-বাদ্যশিল্পীদের কেউ কেউ "লোকপ্রসার"-এ আছেন। ভাতা যদি পান, হয়তো ভাত-ডাল বা শুধু ভাত জুটে যাবে। কিন্তু অনেকেই নেই। গান-বাজনার টিউশন আর শো করে চলে। তারা কীভাবে চালাবেন এই লক-ডাউনের সময়। সাউন্ড-লাইট-ডেকরেটারের লোকজন দের কীভাবে চলবে? স্টুডিও-য় কাজ করেন যারা?সেই অর্থে এদের বেশিরভাগেরই জমানো টাকা নেই। ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা, তাতে সেটা সম্ভবও নয়। লকডাউনের পরও অন্তত জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত সেভাবে প্রোগ্রাম হবে বলে মনে হয় না। সহযোগীরা অন্য কোনো কাজ করে চালিয়ে নেবেন হয়তো? কিন্তু, যিনি শিল্পী, বাদ্যযন্ত্রী, রেকর্ডিস্ট, অপারেটার... দিনমজুর বলে প্রচেষ্টায়,দাঁড়াতে তার ইগোতে লাগবেই। হুগলি জেলা সঙ্গীত মেলার কর্ণধার অমিত রায় বলেন -অসহায় আমি, শুধু ভাবনা ছাড়া কী-বা করতে পারি!!! অথচ, এই লকডাউন পরিস্থিতিটাও খুব জরুরী। এরাও তো মানুষ। বৃহত্তর মানুষের জর্জরিত অবস্থায় তাদের বিনোদনের মাধ্যমে একটু শান্তি দেন এরা। কেন্দ্র/রাজ্য সরকারের প্রতি এই অধমের একান্ত অনুরোধ,এদের কথাও একটু ভাবুন প্লিজ।

Comments

  1. বাস্তব সমস্যা তুলে ধরার জন্যে সাধুবাদ জানাই হুগলি জেলা সংগীত মেলা কমিটিকে। আশাকরি আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসন এই সমস্যার আশু সমাধানে উদ্যোগী হবে।

    ReplyDelete

Post a Comment

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।