Skip to main content

আট লাখি গাড়িতে প্রচার সারবেন বিধায়ক অসিত মজুমদার - Janobarta Digital

জনবার্তা ডেস্ক: আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন। দলীয় মহলে প্রস্তুতির কাজও শুরু হয়েছে বেশ কয়েকমাস আগেই। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ টানটান উত্তেজনা। এর মাঝেই যেন মেঘে ঢাকা তারার উদয় ঘটলো। 

শনিবার দুপুর। স্থান চুঁচুড়া খাদিনা মোড়। হটাৎই চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার কে ঘুরতে দেখা গেল এক কালো মাহিন্দ্রা গাড়িতে। ওই জায়গার সকলেই বেশ অবাক, অসিত বাবু তোহ সাদা স্করপিও চড়েন। এটা আবার কথা থেকে এলো..!! প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনেই। আর বেশ সুসজ্জিত গাড়িটি, চোখ যেন আপনিই চলে যাচ্ছে গাড়ির দিকে। কেউ কেউ আর দমে না থেকে জিজ্ঞাসা করলেন, অসিত বাবু নতুন গাড়ি নিলেন, উত্তরে অসিত বাবুর জবাব "হ্যাঁ, এই আজই নিলাম"। আর সাংবাদিকরা তোহ আছেনই। সংবাদিকরাও ততক্ষনে হাজির সেখানে। প্রশ্নবানে ছুঁড়ে দিলেন অসিতবাবুর দিকে। নতুন গাড়ি কিনলেন ?..অসিত বাবুর জবাব, "হ্যাঁ, আজই নতুন কিনলাম। এখনও সমস্ত কাজ মেটেনি গাড়ির। এই আবার শোরুমে যাবো। হটাৎ, সাদা স্করপিও ছেড়ে, কালো মাহিন্দ্রা কেন ?.. অসিত বাবুর জবাব। "সামনেই লোকসভা আর বিধানসভা ভোট। আমাদের লোকসভায় প্রচারের জন্যই এই গাড়ি। এতদিন ভাড়া গাড়ি করে প্রচার সেরেছি এবার এই গাড়িতে।" শুনছিলাম, এ গাড়ির নাকি হুড খোলা যায় ! উত্তর এলো, "হ্যাঁ, যায় তোহ। এই এবার নিয়ে যাবো অনেক কাজ বাকি, মাইক লাগানো হবে, লাইট দিয়ে সাজানো হবে। আর এটা আমাদের বিধানসভা লোকসভা ছেড়ে দলের কাজে কেউ চাইলেও তাকে সাহায্য করা হবে।" এরপর অসিত বাবুকে জিজ্ঞাস করা হলো, অনেক খরচা তোহ এই গাড়ি কিনতে..!! আসিত বাবুর উত্তর, "হ্যাঁ সে তোহ একটু আছেই। দলের কাজে এই গাড়ি। পার্টির সকলেই সাহায্য করেছেন। পৌরসভা, পঞ্চায়েতের সকল কর্মীরা পাশে ছিলেন।" আবার তার কিছুক্ষণ আগেই অসিত বাবুকে প্রশ্ন করা হয়,"আমরা দেখেছি আপনি দুবার বিধানসভায় জয় লাভ করেছেন এবং আপনাকে প্রচারের জন্য বেশির ভাগ সময়ই রোড শো করতে দেখা গেছে, তাহলে এবার কি হবে ? " অসিত বাবু বললেন, " আমি নিজেই গাড়ি নিয়েছি, আমাদের লোকসভা, বিধানসভায় এই গাড়ি নিয়েই প্রচার হবে। এতে আশাকরি দলের বেশ উপকারই হবে।" 

কিন্তু এখন প্রশ্ন একটাই, তা হলো অসিত বাবুর এই আট লাখি গাড়ির টাকা এলো কথা থেকে ? এর উত্তরে অসিত বাবুর থেকেই মিলল দুরকম উত্তর, প্রথমে বললেন "নিজেই গাড়ি কিনেছেন", পরক্ষনেই জবাব " দল থেকে সাহায্য পেয়েছি"। তাহলে আদতে গাড়ি কার ? দলের নাকি অসিত বাবুর ? এই আট লাখি গাড়ির টাকাই বা এলো কোথা থেকে ? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়...।।

Comments

ঝলকে ৫

জলে ডুবে মৃত্যু ১৪ বছরের বালকের

  বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- সকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত‍্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে অ‍্যালকালি মাঠ সংলগ্ন পুকুরে। মৃত নাবালকের নাম অনিকেত সরকার। বয়স ১৪ বছর। বাড়ি কোন্নগর মাষ্টারপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধ্রুবতারা ক্লাবের সামনে। অনিকেত কোন্নগর নবগ্রাম বিদ‍্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। কোন্নগর স্টেশনের পাশে একটা পানের দোকান চালায় অনেকেতের বাবা অলোক সরকার। আর মা অনিমা সরকার রান্নার কাজ করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান অনিকেত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে অ‍্যালকালি কোয়ার্টারের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে যাবে বলে ভোরবেলা ৪.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। ৮ টা নাগাদ এক বন্ধুর মা এসে অনিকেতের বাড়িতে খবর দেয় অনিকেত জলে ডুবে গেছে। তৎক্ষনাৎ বাবা, মা সহ প্রতিবেশীরা এবং স্থানীয় ধ্রুবতারা ক্লাবের সদস‍্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপস্থিত হয় ১৭নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অভিরুপ চক্রবর্তী ( সোনাই)। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অ‍্যালকালি কোয়ার্টার এলাকার স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে নেমে অনিকেতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্টের পুলিশ ...

শুনশান প্রেমের পীঠস্থান, লকডাউনে কেমন আছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড !

জনবার্তা প্রতিবেদন:  চন্দননগরের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গার  ধার , একাধিক অফিস থাকার ফলে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকে এই এলাকা। চায়ের দোকানের আড্ডা , পুলিশের গাড়ির সাইরেন , ফুচকার স্বাদ , মোমোর গন্ধ , চাউমিন, প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটাহাঁটি  সবসময় দেখতে অভস্ত চন্দননগর স্ট্র্যান্ড । কিন্তু লকডাউন তাল কেটে দিয়েছে । শহরবাসী এই স্ট্র্যান্ড দেখেনি কোনদিন।গুটি কয়েক লোক আর পুলিশের গাড়ি ছাড়া  স্ট্র্যান্ড  ফাঁকা । পৃথিবীর সুস্থতার লক্ষ্যে সবাই গৃহবন্দী ।একদিন প্রাণচাঞ্চল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড আবার আগের অবস্থায় ফিরবে, আবার প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে প্রেমিকা স্বপ্ন দেখবে  এই আশা নিয়েই আপাতত নিজেদের  চন্দননগর স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে শহরবাসী।