Skip to main content

চুঁচুড়া "তোলা ফটক" এর অজানা কথা, আদতে কি ছিল চুঁচুড়ার তোলাফটক অঞ্চল ? কেন এই নাম ? জানতে হলে দেখুন

ফাইল ঘেঁটে : পর্ব ১ 

"তোলা ফটক" স্তম্ভের বর্তমান ছবি"
শুভদীপ দে, এবং অধ্যায় : পর্তুগীজ বণিক চুঁচুড়া শহরের পা দিয়েছিলেন ১৫৭৯ সালে। তাহলে তার আগে কি চুঁচুড়ার অস্তিত্ব ছিল না ? অবশ্যই ছিল। চুঁচুড়া তখন ছিল ভুরশুঁট পরগনার অন্যতম বন্দর। ভুঁড়শুট পরগণা প্রাচীন বাংলার একটি অঞ্চল। বর্তমান হাওড়া ও হুগলি জেলার বৃহত্তর। অংশ জুড়ে ছিল এর অবস্থান। পর্তুগিজরা ঠিক চুঁচুড়া শহরে পা দেয়নি, তারা পা দিয়েছিল গুল্ম শহরে। এই গুল্ম শহরই পরবর্তীকালে হুগলী নামে পরিবর্তিত হয়। পর্তুগীজদের সাথে তৎকালীন মোগল সম্রাট শাহজাহানের বিরোধ বাধে। তিনি বিশাল সৈন্য পাঠিয়ে পর্তুগীজ দমন করেন, সেই সাথে উদারতার পরিচয় দেন। পর্তুগিজ বণিকদের জন্য গঙ্গাতীরে বিশাল একখণ্ড জমি দেন । গির্জা নির্মাণের জন্য। বর্তমানে এটি ব্যান্ডেল চার্চ নামে পরিচিত। পর্তুগীজদের পরপরই ডাচ বণিকরা আস্তানা গড়ে তোলেন এই অঞ্চলে। চুঁচুড়া শহরের মূলত ডাচ আধিপত্যই ছিল। ডাচেরা একটি গুস্তেভাস বা দুর্গ নির্মাণ করেন চুঁচুড়ার গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চলে। বর্তমানে তা বিলীন। তবে প্রাচীন বেশ কিছু নথিপত্রে আমরা তার প্রকাশ পাই। আজও চুঁচুড়ার একাধিক জায়গায় ডাচ স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা একে একে সেই সব স্মৃতিগুলোয় নজর দেবো। প্রথম পর্বে চুঁচুড়ার  "তোলা ফটক" এর কথা।

বিজ্ঞাপন
প্রাচীন শহর চুঁচুড়ার আনাচে কানাচে ইতিহাস ছড়িয়ে আছে। চুঁচুড়ার অত্যন্ত প্রাচীন একটি জায়গা হল তোলা ফটক। তােলাফটক নামটির পিছনে আছে এক সুন্দর ইতিহাস। চুঁচুড়া শহর তখন ডাচদের অধীনে। প্রতিবেশি চন্দননগর ফরাসীদের তাই দুই স্থানের মাঝে ছিল একটি গড়। আর তার উপর ছিল একটি ভাঁজ যুক্ত সেতু। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সেতু খোলা ও তোলা হত। সেই থেকেই এই অঞ্চলটির নাম হয়ে যায় তোলাফটক । আজও এই ফটকের ডান দিকে স্তম্ভটি জীর্ণ অবস্থায় বিদ্যমান। চুঁচুড়া শহরের অনেক বয়স্ক মানুষই মনে করতে পারবেন, বাম দিকের লোহার দরজা বেশ কিছু বছর আগেও ছিল। রাস্তা সম্প্রসারণ করলে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়। একটি স্তম্ভের যেটুকু অবশিষ্ট আছে তা ভালো করে লক্ষ্য করলে আজও লােহার দরজার কড়া দেখা যাবে। কিন্তু সংস্কারের জন্য সমস্ত মহলই প্রায় যেন ঘুমন্ত। অল্প কিছুতেই মিছিল, আন্দোলন হয় বর্তমানে। ইতিহাস শুধু পাতাতেই সংরক্ষিত, আদতে ওখানে ইতিহাস আজও কাঁদে।।



চলবে....

পরবর্তী তথ্য চুঁচুড়া'র "সাত বিবির গড়" প্রসঙ্গে, জানতে হলে নজরে রাখুন একনজরে হুগলী চুঁচুড়া ।


ADVERTISEMENT






একনজরে হুগলী চুঁচুড়া নিবেদন করছে...




OFFICIAL BLOGPOST OF EKNOJORE HOOGHLY CHUCHURA

Comments

ঝলকে ৫

মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে গ্রেপ্তার, রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়

  সংবাদ একনজরে প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রে শিন্ডে-ফড়নবিশ সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কয়েক ঘণ্টা বাকি। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তোলপাড় মহারাষ্ট্র। জানা যাচ্ছে জুয়া খেলার সময় গ্রেফতার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ভাইপো মহেশ শিন্ডে। মীরারডের জিসিসি ক্লাবের একটি জায়গায় জুয়া খেলছিলেন মহেশ শিন্ডে। সেই সময় পুলিশ ক্লাবটিতে অভিযান চালায় এবং ১০ জনকে আটক করে। এই তথ্য সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ইডি যদি বাপের বেটা হয় অমিত শাহ কে গ্রেপ্তার করুক: অসিত মজুমদার

  একনজরে প্রতিবেদন: বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন বিজেপি চক্রান্ত করে ইডি ও সিবিআই দিয়ে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। আমি ভয় পাইনা।সভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন শ্রীরামপুরের সংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।তিনি বলেন আগামীদিনে আমার বিধায়কের ওপর আক্রমণ হলে কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলের পর বদলা নিতে বারণ করেছিলেন,তাই আমরা কোনও বাজে আচরণ করিনি।আগামী দিনেও করবো না,তবে এটা বারবার হতে পারেনা।সভায় বিপুল মানুষের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচী আগামী দিনে তৃণমূলকে অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করেন নেতৃত্ব।সভায় অসিত বাবু ও কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অমিত রায়,শেখ মেহবুব রহমান,গোবিন্দ দাশগুপ্ত সহ শহরের ও জেলার নেতৃত্ব।

সারাদিনের কবিতা উৎসবের পোস্টার উন্মোচন

  একনজরে প্রতিবেদন: ২য় বর্ষ সারাদিনের কবিতা উৎসবের পোস্টার উন্মোচন হলো আজ চুঁচুড়া জ্যোতিষ ভবনে।উদ্বোধন করলেন শহরের কবিরা। উপস্থিত ছিলেন কবি প্রবীর রায়চৌধুরী,গল্পকার নিত্যরঞ্জন দেবনাথ, কবি দেবাশিস রায়, কবি প্রভাত মিশ্র সহ একাধিক কবি। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে, আগামী ১৭ জুলাই চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সারাদিন ব্যাপী কবিতা উৎসব।গত বছর থেকে সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকা ও চুঁচুড়া বইমেলার উদ্যোগে সারাদিনের কবিতা উৎসব শুরু হয়।প্রথম বছর দুটি মঞ্চে প্রায় ১৭৫ জন কবির কবিতা পাঠ সারা ফেলে দিয়েছিল সারা বাংলায়। এবার ও মেলা কমিটি এই আয়োজনকে সর্বাঙ্গীন করে তুলতে বদ্ধপরিকর। কবি প্রবীর রায়চৌধুরী বলেন কবিতা একজন কবি মানুষের কাছে আত্মার সমান।কবিতা নিয়ে উন্মাদনা চিরকাল ই ছিলো,বর্তমানে এই ধরণের উদ্যোগকে উৎসাহিত করতেই হয়।তাই আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি,আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

দুর্গা পুজো উপলক্ষে হুগলীর বলাগড়ে "পুরোহিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা" - Janobarta Digital

রাজেশ মন্ডল, হুগলী: হুগলীর বলাগড় থানার অন্তর্গত শ্রীপুর বাজারের সচ্ছিতানন্দ সেবাশ্রম দুর্গা পুজো উপলক্ষে পুরোহিত প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো গত বুধবার। হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও সত্যি এটাই। এবছরের ঢাকে কাঠি পড়তে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন, গোটা একটা বছর অপেক্ষা করেন সকল মানুষ শুধুমাত্র পুজোর এই চারটে দিন উপভোগ করার জন্য। কিন্তু এই দুর্গা পুজো বা মাতৃ আরাধনায় প্রকৃত পক্ষে সামিল হন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুরোহিতরা। যাদের ছাড়া পুজোই সম্ভব নয়। সেই সমস্ত পুরোহিতদের পুজোর ধরন, পদ্ধতি আরও ভালো করার জন্য হুগলীর বলাগড়ে আচার্য্য কমলাকান্ত ও শ্রী সুজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালনায় বহু পুরোহিত শিক্ষাগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানটিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ। এপ্রসঙ্গে সংস্থার সম্পাদক অনুপ প্রামানিক বলেন, বিগত ৫বছর ধরে রাজ্যে তথা জেলার বুকে আমরা এই কর্মশালা করে থাকি। আগামী দিনে এই এক জায়গায় নয়, আশা রাখি জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মশালা সংগঠিত করবো।।

এসইউসিআই(কমিউনিস্ট) পার্টির ৭৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সমাবেশ

  দীপঙ্কর মণ্ডল, সংবাদ একনজরে :চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়, শ্রীরামপুর এবং নালিকুলে SUCI(C) এর ৭৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয় সমাবেশের মধ্যে দিয়ে। চুঁচুড়ার সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অশোক সামন্ত, শ্রীরামপুরের সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা দিলীপ ভট্টাচার্য, হরিপালের সভায় বক্তব্য রাখেন কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য এবং শ্রমিক নেতা শান্তি ঘোষ। এছাড়াও চুঁচুড়ায় হুগলি লোকসভার প্রার্থী পবন মজুমদার, শ্রীরামপুরে শ্রীরামপুর লোকসভার প্রার্থী প্রদ্যুৎ চৌধুরী এবং হরিপালে আরামবাগ লোকসভার প্রার্থী সুকান্ত পোড়েল বক্তব্য রাখেন।  ‌ ব্রিটিশের করারগারে অনুশীলন সমিতির ভলেন্টিয়ার, তেইশ বছরের সদ্য যুবক কমরেড শিবদাস ঘোষ উপলব্ধি করেছিলেন তৎকালীন ভারতে কমিউনিস্ট নাম নিয়ে চলা দলগুলি কমিউনিস্ট পার্টি হিসাবে গড়েই উঠতে পারেনি। তিনি গুটি কয়েক হাতেগোনা তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সঙ্গে নিয়ে একটা নতুন ধরনের পার্টি গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) গড়ে তুলেছিলেন। আজ গোটা ভারতবর্ষে পার্টির কাজ সম্প্রসারিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি এবং গোটা ভারতবর্ষে ১৫১ টি আসনে এস ইউ...